তিনি গোপন জায়গায় যেতেন। যেতেন যৌনপল্লীসহ নারীদের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। সঙ্গে নিতেন ক্যামেরা। নারীদের অনুমতি না নিয়েই ভিডিও ধারণ করতেন। আর সেই ভিডিও পর্নো সাইটে দিয়ে বনে গেছেন কোটিপতি। তিনিও একনজন নারী। তার নাম সং।
ওই পর্নো সাইটে ১০ লাখের বেশি ব্যবহারকারী ছিল। আর সেখানে হাজার হাজার ভিডিও ছিল যেখানে ভিডিওতে থাকা নারীদের কোন অনুমতি নেয়া হয়নি। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তারা জানতেন না যে ভিডিও ধারণ করা হয়েছে।
কোরিয়ার পুলিশ বলছে- ওয়েবসাইটটির মালিক অবৈধ যৌনপল্লী এবং জুয়া খেলার বিজ্ঞাপন ওই সাইটে ব্যবহার করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছে।
কিন্তু সন্দেহভাজন এই নারী যার নামের শেষের অংশ সং তিনি এই দোষ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন সাইটের যারা ব্যবহারকারী তারাই অবৈধ এসব ভিডিও তৈরি করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় পর্নোগ্রাফি তৈরি এবং প্রচার করা অবৈধ। সং নামের ওই নারীকে শিশু-কিশোর সেক্স প্রটেকশন আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
দ্যা কোরিয়া হেরাল্ড এর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে তিনিসহ আরও চারজন এই সাইট চালাতেন যার মধ্যে তার স্বামীও ছিলেন।
সন্দেহভাজন আরও দুইজনকে এই কাজের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই ওয়েবসাইটের বেশিরভাগ ভিডিও গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে বাথরুমে বা কোন দোকানের পোশাক পাল্টানোর ঘর থেকে। আবার অনেক ভিডিও তাদের আগের পার্টনাররা প্রতিশোধমূলক ভাবে আপলোড করেছে।
ভিডিওগুলো প্রকাশ পেলে বেশ কয়েকজন নারী আত্মহত্যা করেন। এরপর সাইটটি বন্ধ করার জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ বছরের মে মাসে ১০ হাজারের বেশি নারী রাস্তায় নেমে ডিজিটাল সেক্স ক্রাইম নিয়ে তদন্ত করার জন্য বিক্ষোভ করে। সিউলে এর আগে নারীদের অধিকার নিয়ে এত বড় সমাবেশ আর হয়নি। সূত্র: বিবিসি